কবিতা: বীর রক্ত কোমল (গদ্য কবিতা)
হে প্রজন্ম,
তোমরা কি জানো—
লক্ষ রক্ত কোমলের বুকের ঝাঁঝরা যন্ত্রণায়
উদিত হয়েছিল স্বাধীন সূর্য,
যে সূর্য আজ তোমাদের চোখে স্বপ্ন জ্বালে,
যে স্বাধীনতা আজ তোমাদের পরিচয় দেয়—
“আমি বাংলাদেশ”।
এই দেশ,
এই সবুজ-শ্যামল পবিত্র ভূমি
কেবল এক মানচিত্র নয়,
এটি রক্তে রাঙানো ইতিহাসের বর্ণমালা।
৫৬ হাজার বর্গমাইল যেন এক বিরাট শোকস্তম্ভ—
যেখানে প্রতিটি পাথরে, প্রতিটি নদীর ঢেউয়ে
একেকটি রক্ত কোমলের আত্মত্যাগের গাঁথা লেখা।
সে বীর—
যার কণ্ঠে ছিল উনিশ দফা উচ্চারণ,
যার দৃষ্টিতে ছিল আত্মনির্ভরতার নীল নকশা,
যার স্বপ্ন ছিল না কেবল শাসন—
ছিলো বাংলার মাটি, মানুষ,
এবং তাদের অন্তরের মুক্তি।
তবুও—
কিছু নষ্ট বিবেক, কিছু পা-চাটা পতিত বুদ্ধিজীবী
তাকেই ইতিহাসের জঞ্জাল ভেবে
ছুঁড়ে দিতে চেয়েছে অন্ধকার অতলে।
চেয়েছে তাঁকে মুছে দিতে পাঠ্যবই থেকে,
ভুলিয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে—
কে ছিলো তাঁর নাম, কেন তাঁর ডাকেই
রক্ত কোমলেরা ছুটেছিল নির্ভীকভাবে সমরের মাটিতে।
হে বাংলাদেশ,
তোমার আকাশে যে পতাকা আজ উড়ে
তার রঙে আছে রক্ত কোমলের করুণ আর গর্বিত কাহিনি।
পানিতে ভাসে যে তরঙ্গ,
সে তরঙ্গও গেয়ে চলে সেই বীরের জয়গান।
প্রজন্ম, তুমি যদি ভুলে যাও—
তবে ইতিহাস চুপ করে থাকবে না,
সে গর্জে উঠবে, ছুঁড়ে দেবে সত্যের বজ্রকণ্ঠ।
তুমি যদি চেনো না রক্ত কোমলের চিহ্ন,
তবে মুক্তির স্বাদও কেবল এক বিভ্রম হবে।
জানো,
বীরেরা কখনো মরে না—
তারা ছায়ার মতো বেঁচে থাকে সময়ের শরীরে,
তাদের আদর্শ হয় ভবিষ্যতের মেরুদণ্ড।
তাই বলি—
যখন রক্ত কোমলের নাম শুনবে, মাথা নিচু করো না,
বরং মাথা উঁচু করে শপথ করো—
আমরাও হবো সেই চেতনার বাহক,
আমরাও গড়বো এক সত্যভিত্তিক স্বাধীন বাংলাদেশ।
S. Ahmed
evergiftinfo.com
myphilos.net
No comments:
Post a Comment