মানবিক ধরণী ও বিবেক
মানবতা কি আর ফিরবে না?
এই প্রশ্নটা কি এখন নিছকই কল্পনা?
যুগের পর যুগ ধরে,
তোমাদের উদ্ভাবিত পারমাণবিক বোমা,
তোমাদের ধর্মের নামে উচ্চারিত ঘৃণার ভাষণ—
যেগুলো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও ধ্বংসাত্মক।
তোমাদের অদৃশ্য দানবেরা—
সমুদ্রের গভীরে ঘাপটি মেরে থাকা সাবমেরিন-
আকাশে ওড়া যুদ্ধবিমান,
ড্রোনে বোঝাই মৃত্যুবার্তা—
পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে দিয়েছে বারুদ আর রক্তের গন্ধ।
এই পৃথিবী ছিল আমাদের সন্তানের-
রঙতুলিতে আঁকা স্বপ্নের ক্যানভাস।
ছিল বাগান, ছিল খেলার ঘর,
ছিল হাসির শব্দ, দৌড়ঝাঁপ, আর নির্ভীক ভবিষ্যৎ—
আজ তা পরিণত হয়েছে পোড়া মরুভূমিতে।
শিশুরা, যাদের হাত কখনো খেলনায়,
কখনো ফুলে ভরা ছিল—
আজ তারা রক্তাক্ত ধ্বংসস্তূপে
খুঁজে ফিরে তাঁদের বেঁচে থাকার পথ।
তারা তো অপরাধী ছিল না,
তবে কেন তাদের শৈশব গিলে খেলো এই নৃশংস বাস্তবতা?
তোমরাই তো বলো—
আমরা এখন “গ্লোবাল ভিলেজ”-এ বাস করি।
তবে কোথায় সেই ভ্রাতৃত্ব?
তোমরাও তো ধর্মের নামে বিভেদ করো,
সংকীর্ণ ধর্ম ব্যাবসায়িদের মতোই--
জাতের নামে, বর্ণের নামে, ভাষার নামে গড়ে তোলো প্রাচীর।
তোমরাই তো দল বেঁধে ঘুরো,
উপাসনালয়কেও বানিয়ে ফেলেছো যুদ্ধক্ষেত্র।
তোমরাই তো বলো—
সন্তানের সামনে পরাজিত হওয়াটাই ভালোবাসার নিদর্শন।
তবুও প্রতারণা করো নিজেরই সন্তানদের সঙ্গে—
তাদের শেখাও ঘৃণা, সংকীর্ণতা, অসহিষ্ণুতা।
তাদের মনেও ঢুকিয়ে দাও বিভাজনের বিষবৃক্ষ।
আসবে একদিন—
যেদিন এই নিষ্পাপ শিশুরাই
আমাদের দাঁড় করাবে ইতিহাসের কাঠগড়ায়।
তাদের চোখে থাকবে না ক্ষমার ছায়া,
থাকবে শুধুই প্রশ্ন— "তোমরা আমাদের জন্য কোন পৃথিবী রেখে গেছো!!
এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি, তার আগেই
চলো আমরা দাঁড়াই নিজের বিবেকের কাঠগড়ায়।
নিজেকে প্রশ্ন করি—
এই ধ্বংস, এই ঘৃণা, এই সীমাহীন সংকীর্ণতার খেলায়
আসলে কি আমরা কেউই জয়ী?
নাকি সবাই পরাজিত!!!
Md Sagor Ahmed
myevergiftinfo.com
myphilos.net